বিশ্বজিৎ কর :: মৌলভীবাজারে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদিত সার সংক্ষেপের আলোকে “স্কিলস এ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট(STEP)” শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন ৭৭৭ জন শিক্ষকের চাকরি রাজস্বখাতে দ্রুত স্থানান্তর ও ১৮ মাসের বকেয়া বেতন ভাতাদির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে মানববন্ধন অনুষ্টিত।

আজ ১৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কলেজে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সকাল ১১:০০ ঘটিকায় মানববন্ধন অনুষ্টিত হয় । উক্ত মনববন্ধনে উপস্থাপনা করেনঃ মারুফা খাতুন (ইন্সট্রাক্টর,ননটেক)
, শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মসরুফ আহমদ চৌধুরী (ইন্সট্রাক্টর, ইলেকট্রনিক্স), তারনুমা আহমেদ ( ইন্সট্রাক্টর ইলেকট্রনিক্স) ,আবু নাসের (ইন্সট্রাক্টর আর এ সি) , এবং ছাত্রদের মাঝে বক্তব্য রাখেনঃ মেহেদী হাসান( ফুড টেকনোলজি) ,রুহান (কম্পিউটার টেকনোলজি) ,সেল্টু দাস (ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি)। তাদের বক্তব্যে বলা হয় যে , কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমূহের মানোন্নয়ন ও শিক্ষক সল্পতা দূরীকরণের জন্য জুলাই ২০১০ তারিখে সরকার স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করেন, যা ধারাবাহিকভাবে ৩০ জুন ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত চলমান ছিল। ওই প্রকল্পের আওতায় সরকার দেশের ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে নিয়োগবিধির সকল কোটা অনুসরণ করে দুই ধাপে ১০১৫ জন শিক্ষককে নিয়োগ প্রদান করেন (বর্তমানে কর্মরত ৭৭৭জন)। বিগত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সরকারের থোক বরাদ্দ খাত হতে ৭৮৬ জন শিক্ষকের বেতন ভাতাদি পরিশোধ করা হয়।

প্রকল্পের ৭৮৬ জন শিক্ষকের চাকরি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন/নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সম্পাদন করা হয়নি। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আমরা বিগত ১৮ মাস যাবত বেতন ভাতাদি না পেয়ে অত্যন্ত মানবেতর ও উদ্বিগ্ন অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছি। এমতাবস্থায়, ৭৮৬ জন শিক্ষক ও তাদের পরিবার-পরিজন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার ও বেতন ভাতাদি প্রাপ্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান।

শিক্ষকরা আরো বলেন , বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি আমরা। আজ ১৮ মাস হয়ে গেলো বেতন ছাড়া। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না । অনেকের পরিবার আজ অনাহারে, অর্ধাহারে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও দ্রুত রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌ. মোঃ মিজানুর রহমান বলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য অনেক কষ্ট করছে তাদের এই কাজের জন্য ছাত্রছাত্রীরা অনেক মেধাবী হচ্ছে । কি›তু ১৮ মাস থেকে বেতন ভাতা না পাওয়ায় তাদের অনেক কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করতে হচ্ছে । তাই তাদের খুব দ্রুত বেতন ভাতা ও রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা প্রয়োজন।

১), (STEP) ( স্টেপ) প্রকল্পে নিয়োজিত শিক্ষকবৃন্দকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের নিমিত্তে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে স্মারক নম্বর ঃ ৩৭.০০.০০০.০৭৬.০৫.০৩৭.১৬-৩১৭ এর সারসংক্ষেপের আলোকে, ২২/০৫/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় অনুমোদন প্রদান করেন।
(২), মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের প্রেক্ষিতে এবং জনবলের অনস্বীকার্যতা বিবেচনায় প্রকল্প সমাপ্তির দিন থেকেই ৩০/০৬/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক স্মারক নংঃ ৫৭.০০.০০০০.০৫১.১৫.০০৩.১৯-৪২৫(ক), এর আলোকে স্টে অর্ডার প্রদান করা হয়।

(২), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে স্মারক নংঃ ৫৭.০০.০০০.০৫১.১৫.০০৩.১৯-৪২৫(ক) এর আলোকে, ০২/০৭/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে, সমাপ্তপ্রকল্পের শিক্ষকদের চাকুরী অব্যাহত রাখার নিমিত্তে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ করেন।
(৩), কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে স্মারক নংঃ ৩৭.০৩.০০০.০০১.১৮.০৮.৯০.১৬/৪৭০(১৪০) এর আলোকে, ২৫/০৯/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে, (STEP)সমাপ্ত প্রকল্পের শিক্ষকদেরকে, “স্টেপ থেকে রাজস্ব খাতে আসার প্রস্তাবনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সদয় ২২/৫/২০১৯ খ্রি: তারিখে সদয় অনুমোদন করেন এবং রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবর ডি.ও পত্র প্রেরণ করেন।